বুধবার, এপ্রিল ২৪, ২০২৪

হে মহাজীবন, প্রণাম

চলে গেলেন আপোষহীন কলমযোদ্ধা দেবেশ রায়

# শ্যামল ভট্টাচার্য

গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ৫০ মিনিটে অসীমান্তিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ লেখক দেবেশ রায় চলে গেলেন। বাগুইআটিতে একটি নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। এমন দুঃসময়ে তাঁর চলে যাওয়ায় বাংলার সাহিত্য, সংস্কৃতি, সমাজ ও রাজনৈতিক চিন্তাধারার ক্ষেত্রে বড়ো শূণ্যতা সৃষ্টি হয়েছে। এই ক্ষতি অপূরণীয়।

একই দিনে বিকেল পাঁচটায় ঢাকায় প্রয়াত হলেন শ্রদ্ধেয় আনিসুজ্জামান আর এপারে চলে গেলেন দেবেশ রায়। মনের মধ্যে এক গভীর শূন্যতা ঘুরপাক খাচ্ছে। গতকালই ‘অন্যদেশ’ সম্পাদক আমাকে তাঁর সম্পর্কে লিখতে বললেন। আমি কী লিখবো, কিছুই মাথায় আসছিলো না। আমার সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত স্মৃতি খুব বেশি নয়। তাঁর লেখা বইগুলি পড়া, বইমেলা উপলক্ষ্যে কলকাতায় এলে কয়েকবার সাধন চট্টোপাধ্যায় কিম্বা অমর মিত্রের দৌলতে তাঁকে কাছ থেকে দেখেছি, তাঁর কথা শুনেছি – এই যা! ২০০৮-০৯ সালে একদিন ত্রিপুরার অক্ষর পাবলিকেশনের কর্ণধার রতুদা (শুভব্রত দেব) তাঁর সঙ্গে আমাকে ত্রিপুরা ভবন থেকে বাগুইআটিতে দেবেশদার বাড়িতে নিয়ে যান। সেই প্রথম আমার সঙ্গে পরিচয়। তিনি ‘আপনি, আপনি’ করে কথা বলছিলেন। আমরা ‘তুমি’ বলার অনুরোধ জানালে তিনি বলেন, আমি আপনি ছাড়া কিছু বলতে পারি না, এটা আমার অভ্যাস। আমি বিমানবাহিনীতে চাকরি করতাম শুনে তিনি বলেন, তাঁরও এক আত্মীয় বিমানবাহিনীতে চাকরি করতেন। সেদিন রতুদা তাঁকে অন্যান্য কিছু বইয়ের সঙ্গে আমার ‘বুখারী’ উপন্যাসটি উপহার দিয়েছিলেন।

তারপর কয়েক বছর আমি একটি কাগজের সম্পাদনার দায়িত্ব নিয়ে ত্রিপুরায় ছিলাম। সেই কাজ ছেড়ে আবার কলকাতায় ফেরার কয়েক বছর পর একদিন বাংলা আকাদেমিতে একটি অনুষ্ঠানে স্রোতা হিসেবে গেছি। অন্যতম প্রধান বক্তা দেবেশ রায়। আমি যেহেতু যে কোনও অনুষ্ঠান শুরুর একটু আগেই পৌঁছনোর চেষ্টা করি, অনুষ্ঠান শুরুর আগেই তাঁর সঙ্গে গিয়ে কথা বলি। ত্রিপউরা থেকে ফিরেছি শুনে তিনি আমাকে মীনাক্ষী সেন সম্পর্কে কিছু কথা জিজ্ঞেস করেন। আর তারপর অনুষ্ঠান শুরু হতেই তিনি আমাকে চমকে দেন তাঁর বক্তব্যে প্রায় এক মিনিট আমাকে ও আমার উপন্যাস নিয়ে বলে। এত ভাল বলেন যে তাঁর বক্তব্যের পরেই আমার অপরিচিত আয়োজকরা আমাকে মঞ্চে ডেকে ফুল ও উত্তরীয় পরিয়ে সম্মানিত করেন। এমনই ছিল তাঁর অনুজ লেখকদের প্রতি আগ্রহ। আমার বন্ধু কথাসাহিত্যিক সাদ কামালীর সঙ্গেও তিনি এমন করেছেন।

আজ একটু আগে তাঁর নশ্বর দেহ পঞ্চভূতে বিলীন হলো। রতনবাবু ঘাট শ্মশান থেকে দাহ শেষ করার খবর পেয়েছি। সারাদিন নার্সিং হোমে বরফের চাঙরের ওপর ত্রিপল ঢাকা হয়ে শুয়েছিলেন। করোনা পজিটিভ কিনা পরীক্ষা করতে নমুনা পাঠানো হয়েছিল। কেউ জানতো না কখন সে পরীক্ষা সম্পূর্ণ হবে। শুনলাম, স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীকে শেষে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে। এই বাক্যটির সত্য মিথ্যা জানিনা। কিন্তু কথাসাহিত্যিক অমর মিত্র, কথাসাহিত্যিক ও প্রখ্যাত চিকিৎসক সুদর্শন সেন শর্মারা স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে তদ্বির করেছেন জানি। পরীক্ষার কাল হয়তো এসবের জন্য কমেছে। সাড়ে ছটা নাগাদ জানা গেছে তাঁর করোনা হয়নি। ততক্ষণে দেবেশদার দেহ শক্ত কাঠ। এবার আবাসনে সামান্য সময়। স্যোশাল ডিসট্যান্সিং মেনটেন করে। তারপর রতনবাবুর ঘাট। ছেলে আসতে পারেনি। আমেদাবাদ থেকে আসার অনুমতি পাননি বোধহয়।

তিনি ছিলেন একজন ধোপদুরস্ত আদ্যোপান্ত বাঙালী কমিউনিস্ট লেখক যোদ্ধা, তিনি বলতেন, ‘আমার ডেস্টিনি ছিল লেখা। আমি জীবনভর আর কিছু করার কথা ভাবিনি। আমি লিখে গেছি। আমি লিখেই গেছি’। তিনি খুব অক্ষর কাঙালও ছিলেন। পেছনে রেখে গেলেন পরিবার পরিজন ছাড়াও এক কমিউনিস্ট ইতিহাস, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে আপোষহীন যোদ্ধা আর ‘পরিচয়’ ঘরাণা। তাঁর সঙ্গে বাংলা সাহিত্যের একটা ধারা শেষ হলো, নাকি নতুন গতি পেয়েছে তা ভবিষ্যত বলবে।

আমি মনে করি, আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের মৃত্যুর পর ভারত ও বাংলাদেশ মিলিয়ে বাংলা ভাষায় নোবেল পুরস্কারের যোগ্য একজনই কথাসাহিত্যিক ছিলেন, তাঁর নাম দেবেশ রায়। এটা কোনও আবেগ থেকে লিখছি না। ঠাণ্ডা মাথায় তাঁর কাজগুলোর কথা ভাবলে সেই যোগ্যতা নিয়ে তর্ক উঠবে না। কী সেই যোগ্যতা? নিবিড় আলাপচারিতায় তাঁর যে ভাবনার পরিচয় পেয়েছি এবং তাঁর সাহিত্যপাঠের অভিজ্ঞতা থেকে একথা লিখছি। দেবেশ রায়ের ব্যতিক্রমী কাজ অনেক। স্থানাভাবে তার মধ্যে কয়েকটা উল্লেখ করছি।

প্রথম জীবনে দেবেশ রায় সিপিআই করতেন। ফলে প্রথমদিকের লেখায় বামপন্থী দর্শনের ছাপ আছে। তখন দেবেশ রায় জলপাইগুড়িতে থাকতেন। গায়িকা কাকলী রায় তাঁর স্ত্রী। ‘পরিচয়’ পত্রিকা সম্পাদনা তাঁর জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়। কারণ, সেই সময় তিনি ‘পরিচয়’ এ এমন সব লেখা ছাপেন, যার সঙ্গে সিপিআই এর আদর্শের যোগ নেই। এ যেন জানালাটা খোলার পর্যায়!

তারপর তিনি জলপাইগুড়ি থেকে কলকাতায় চলে আসেন নতুন চাকরি নিয়ে। সেন্টার ফর সোসাল স্টাডিজের চাকরি আর সাময়িকপত্র নিয়ে গবেষণা, যেটা একটা তথাকথিত বামপন্থী ঘরাণার বাইরের কাজ। এইসময় তিনি সেই আশ্চর্য, তাঁর সর্বোচ্চ শিখরস্পর্শী লেখাটা লেখেন ও দুনিয়ার ভাষা বদলে দেন। "দুনিয়া " শব্দটা সচেতন ভাবেই ব্যবহার করছি। কেন?

‘তিস্তাপাড়ের বৃত্তান্ত’ উপন্যাসে আমরা দেখেছি মহাকাব্যিক ভাব আর মেজাজে আদিপর্ব থেকে বিন্যাসের ক্রম ধরে কিভাবে তিস্তার ভেতরে মৈনাকের দুর্জয় মাথা জেগে ওঠে, গড়ে ওঠে তিস্তা ব্যারেজ , প্রাকৃতিক তিস্তা একেবারে মানবিক হয়ে যায় ইতিহাসের খাতে; আর সেই সূত্রেই ঔপন্যাসিক দেবেশ রায় এমন একটা যোগ্য স্থানের অভিমুখে নিশ্চিন্ত বৃত্তান্তের সমাপ্তি কামনা করেন। কারণ, ‘…শেষ না করলে এ বৃত্তান্ত চলতেই থাকবে’ অসীমতার ধারণার অভিমুখে। অথচ এ বৃত্তান্ত বাঘারু আর মাদারিদের শেষপর্যন্ত পায়ে পায়ে অনুসরণ করতে পারে না। যারা পশুর নিয়মে বাঁচে কিংবা দারিদ্র্যসীমার রেখায় যাদের ধরা যায় না , পশ্চাদপদ শব্দভারে যাদের পরিমাপ অসম্ভব - তাদের কথা এ বৃত্তান্ত থেকে শেষপর্যন্ত স্বতন্ত্র হয়ে যায়। প্রত্যাখ্যানের ভাষা যাদের জানা নেই, তারা শরীরের অস্তিত্ব দিয়েই ইতিহাস বুনে চলে নিজেদের মতন করে । বাঘারু, মাদারিদের পায়ে পায়ে রাস্তা, ফরেস্ট - নদী - হাটগঞ্জ পিছনে ফেলে চলে যায় মানুষী প্রতিকূলতার বিপরীতে প্রকৃতিলগ্নতার আরও গভীরে। বিশ্বঅর্থনীতির চাপে - তাপে উৎপাদনব্যবস্থার সঙ্গে উন্নয়নের সংজ্ঞাটাও বদলে চলেছে। দ্রুতগতিতে টিকে থাকার স্বাভাবিক আগ্রহে মন্ত্রী, এম.এল.এ.গয়ানাথ, নিতাই, সীমান্ত বাহিনীর প্রত্যেকে বদলে চলে সমানুপাতিক গতিতে । আদিপর্ব থেকে খরস্রোতা তিস্তাকেও অল্প অল্প করে চূড়ান্ত আর অনিবার্য পরিবর্তনটা মেনে নিতে হয়; তাই বন বদলাতে হবে, জীবজন্তুকেও মানিয়ে নিয়ে বদলে যেতে হবে। কিন্তু মেনে নিতে না পেরে, যারা শেষপর্যন্ত মানিয়ে নিতে পারে না, সেই বাঘারুদের জন্মান্তরের আরণ্যক গন্ধ যেন ক্রমশ বড় তীব্র হয়ে ঘ্রাণ থেকে মনে চলে আসে। এই প্রাকৃতিক অনুভবের অকৃত্রিমতার মধ্যেই তিস্তার ট্র্যাজেডি বা কমেডির পাশে ‘প্রাকৃতদের’ স্বীয় ঐতিহ্যের অস্তিত্ব নিয়ে স্বতন্ত্র ইতিহাস হয়ে ওঠা । ফলে চলতি ইতিহাসবোধের সঙ্গে বিরোধ ও সমন্বয়ের অনুপাতিক সম্পর্কের প্যারাডাইসে এ এক নতুন ‘ অবিনির্মাণ ’ ( Deconstruction ) । সামাজিক রূপান্তরের চূড়ান্ত সময়পর্বে তিনি উপন্যাসের মধ্য দিয়ে অভিজ্ঞতার চরিত্রকে বুঝতে চেয়েছিলেন বাঁধা ছকের সাহিত্য সৃষ্টির বাইরে গিয়ে। পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের রাজবংশী ভাষা ও পার্টির কাজে তাঁদের জনজীবনের সঙ্গে সমন্বিত হওয়ার সূত্রে রাজবংশীদের হাটে-ঘাটে-মাঠে কিংবা আঙিনায় ছিটিয়ে পড়া প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতাগুলো স্বতন্ত্র আখ্যানের মতনই গড়ে উঠেছিল লেখকের মননের স্তরে।

উপন্যাস গঠনের প্রচলিত পাশ্চাত্য প্যাটার্ণের বাইরে মার্ক্সবাদের আস্তিকতা নিয়ে তিনি কলম ধরেন। বিদেশি কথাসাহিত্যের সূত্র বা সরলতা থেকে তিনি সচেতনভাবেই সরে এসেছেন ‘বৃহত্তর মহত্তর ভূমিকার জন্য’।

আমরা এতদিন মার্ক্সবাদ অনুসারে জানতাম সর্বহারাই একজন মানুষের শেষ স্তর। তিনি " ‘তিস্তাপাড়ের বৃত্তান্ত’ উপন্যাসে কার্ল মার্ক্সকে চ্যালেঞ্জ করে বললেন, না, তার চেয়ে আরও একদফা নীচের মানুষ আছে, যে বাঘারু, সে সর্বস্বহারা। তাই সে সমাজ সভ্যতার সবকিছুকে প্রত্যাখ্যান করে। এই প্রত্যাখ্যানের চরিত্র বা রাজনীতিটা বামপন্থী পাঠকের দর্শন বদলে দেয়। দুনিয়া প্রথম মুখোমুখি হয় দেবেশ রায়ের লেখাতে এই বাঘারুর প্রত্যাখ্যান রাজনীতি নিয়ে। পেলেন সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার।

নব্বুই দশকে টিভির ক্রমবর্ধমান দাপট দেখে তিনি কথাসাহিত্যিকের নতুন ভূমিকা নিয়ে ভাবনায় পড়েন। তিনি দেখেন যে বাস্তবতা দেখানোর একটা চরম জায়গায় পৌঁছে গেছে টিভি। কথাসাহিত্যিকের তো সেটাই কাজ ছিল, তাহলে সে কী করবে? অথচ তার আগের দর্শন নিয়ে চমৎকার একটা প্রবন্ধের বই লিখেছেন তিনি, যার নাম ‘ উপন্যাস নিয়ে’ । এই বইটা ভাবনার মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে আমাদের। তারপর নতুন ভাবনা নিয়ে আবার চ্যালেঞ্জের মুখে তিনি। ভাবলেন, আর বাঘারু লিখে লাভ নেই। এবার দরকার এমন সব লেখা, যা টিভি সিরিয়াল বানাতে পারবে না। তাই দলিল দস্তাবেজ খবরের কাগজ ব্যবহার করে লিখতে হবে এমন সব লেখা যেগুলো ধরার সাধ্য নেই ক্যামেরার। ফলে লিখলেন, ‘সময় অসময়ের বৃত্তান্ত’ যেখানে রেপ কেস ঢুকে গেল, কাগজ কাটিং, কোর্ট পেপার্স, আইনি দু পক্ষের লড়াই হুবহু ঢুকে গেল ভাষ্য হিসাবে। তারপর কেসের রায়, পাতার পর পাতা সেই রায়, বিচারপতির বয়ান হুবহু ঢুকিয়ে দিলেন।

এভাবে তিনি একাই বাংলা কথাসাহিত্যকে আরেক ধাপ এগিয়ে দিলেন। সন্দীপন চট্টোপাধ্যায় বলতেন, গরীব মানুষদের নিয়ে লেখার যোগ্যতা মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর একমাত্র দেবেশের আছে। তার জন্য মানিকবাবুকে জেলে মাঝিদের সঙ্গে দু চারটে বিড়ি টানতে হয়েছে মাত্র। এটা দেবেশের ক্ষেত্রেও সত্যি। আর তুমি " গঙ্গা " নিয়ে সমরেশ বসুর ইন্টারভিউ পড়ো, কতদিন গঙ্গানদীতে কাটিয়েছেন সেটাই বলে যাচ্ছেন! আরে, লেখার কথা বলুন! সন্দীপনদার মৃত্যুতে যতজন সত্যিকারের দুঃখ পেয়েছিলেন তাঁদের একজন দেবেশ রায়। কারণ, ‘প্রতিক্ষণ’ বের হওয়ার সময় সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়কে দ্বিতীয় দফায় ফিরিয়ে আনেন তিনি। ভাবুন, একজন সিপিআই এর লেখক একদম বিপরীত মেরুর লেখক সন্দীপনকে ফেরাচ্ছেন, যাঁর আদর্শ আলবেয়ার কামু।

এই বৃত্তান্ত না পড়লেও তিস্তাপারের জীবনের পর জীবন বাঁচবে, বাঁচতেই হবে। কারণ সেইসব তাঁদের বাঁচা তো কেবল দিনের পর দিন বেঁচে থাকা মাত্র নয়। দেবেশবাবুর ভাষায়, ‘প্রতিটি দিনই একটা পুরোজীবন বাঁচা, একটা গোটা মানবজীবন বাঁচা’। বৌদির মৃত্যুর পর একা হয়ে গিয়েছিলেন, কিন্তু বইপড়া আর লেখার কাজ বাড়িয়ে দিয়েছিলেন।

কথাসাহিত্যিক দেবেশ রায় কোনও বৃহৎ পত্রিকাগোষ্ঠীকে তোয়াক্কা না করে তাঁর সাহিত্যজীবনের প্রতিটি দিনই একটা পুরোজীবন একটা গোটা মানবজীবন বেঁচেছেন, একটি আলোকবর্তিকার মতন পথ দেখিয়ে গেছেন অন্যরকম করে লিখতে আসা অবাণিজ্যিক ঘরাণার লেখকদের।

হে মহাজীবন, প্রণাম।


ছবি সংগ্রহ -- কবি সৈয়দ হাসমত জালালের টাইম লাইন থেকে