শনিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৪

রঞ্জন মৈত্রের চারটি কবিতা

আজ অন্যদেশ স্বজন কবি ও সম্পাদক রঞ্জন মৈত্র'র জন্মদিনে অন্যদেশ পরিবার কবিকে জানায় শুভেচ্ছা ও নিরন্তর শুভকামনা।


খোলা হাওয়ায়

মনপবনের সুতো যায়

কতদূর তোমার নাও

মাঝি দেখছে ঘুড়ির ত্রিশূল ও বিসর্জন

চাঁদের কাঠি সূর্যের কাঠি

ঢাক বাজলো

সুতো তোমার দূর জানে না

কাশ পেরিয়ে শরৎ পেরিয়ে বাজনা চলেছে

জানে না

হাতময় ছড় ছড়ি

পুঁথি প্যানটোগ্রাফ

একটা সা লাগানো ঠিক করে

চকিত নিধাপা থেকে ফের সা

ফের অভিশ্রুতি

শ্রুতিলবাড়ি থেকে বালি বরফ থেকে

অক্ষদাগে জরুলে

পবন তোমার মন জানে না

লাটাই ছেড়ে পায়রা ভেসে যাচ্ছে

কপোতাক্ষ

তোমার কতদূর নদী

নাও


ভ্যালিয়াম

এত শব্দ

একটা একটা গুনে গেঁথে শিলা

তুমি চেয়ার ঘুরিয়ে বসছ

ব্যালকনি পেয়ে তুমি পাহাড়ও

শব্দ ঘুরিয়ে

তুমি

হাতের চারা হাতের ফুল

তরঙ্গের মাইক্রো আসে

সাঙ্গু ভ্যালি, আসে

স্পট করার জন্য

সুমারির জন্য

শরতের দিকে ঘুরে যাওয়া বাড়ি

পারো ছুটে আসছে

ক্যামেরা পড়ে আছে

রক্তে মদে পুনাখায়

ঘুরে বসছে ফোকাস

একটা একটা শব্দ গেঁথে গেঁথে


নাইটিঙ্গেল

এভাবে যাবে না

নদী যায় বিছানা পেরিয়ে

স্টেথোস্কোপ পার হয় নাঙ্গা পর্বত

কু কাটলে কি হয়

চাদর পালটে দিলে কি হয় কু-এর

জানলাগুলো গাছ হ'ল

তাহাতে কোকিল বসলে

দেখছো তো পর্দা উড়ছে গাছে গাছে

শোয়াবারি দেখছো তো

শিকড়মুখীন মনসুন

পথে পথে অক্সিজেন

পলে পলে মাস্ক ক্যাথিটার

এভাবে যাবে না নাইটিঙ্গেল

জোনাকির ডিপার ডিমার

জানলার শিকগুলি এলো ব'লে

ট্রেন প্লেন পত্রপল্লব আর মুসম্বি সমেত


ওটি

যে এলো আলোয়

তাকে জন্মদিন দাও

খুব বরফ থেকে বেরোলো ছুরি কাঁচি

ভ্যানিলা স্ট্রবেরী তারা পরাবাস্তব

রক্তমাখা রূপং দেহি

যা নোনাই, লবণাম্বু যেই

তাকে জন্মদিন দাও

কতদূর কোঁকড়া চুলে বসেছিলে

আর ডিগবয় থেকে রক্তসরণী

গ্রেটার কৈলাশ থেকে দেওদার নিঃশ্বাস

জুতোর তলায় ফাটছো চড়াই রুকস্যাক

পত্রবোমা মাঝঘুমে মধ্য মিনিটে

জানো নাই

গ্রাফে গ্রাফে অচেনা অক্ষর

টবে টবে শুকনো ফোনকল

সুদূর ডুয়ারস থেকে রওনা হয়েছিল আলো

জন্মদিন এস-ফোর লোয়ার বার্থে

তার চিঠিগুলি, বেজে উড়ে বাস্প হয়ে যায়