শুক্রবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৪

বিষাদ গেরস্থালি

এক.

ভৈরবের ঘাটে বুঝি আনজানিয়াৎ বহু মানুষের আজ আনাগোনা, ঈগলের ডানার ছায়া অন্ধকার করে দিচ্ছে সাম্পান, কেবল ছই সাজিয়ে আমি রাহীসরোবর হয়ে দেহ আগলে আছি।বিস্রস্ত চিতার উনান। দাহের কোনো আওয়াজ আসে না , বাতাসে বোবা জানোয়ারের গাত্রমদ। আমার শরীর এবার শিউরে উঠে তোমার হরফ চিনে নিচ্ছে কোথায় তালব্য কোথায় মেসিয়া। বাজে পোড়া হস্তলিপিতে কতদিনের আমকুসি মেঘ ইস্কুলের গেট ধরে বসে থাকে। সমস্ত আলকাতরা মাখানোর পর , এক ঘড়া ও বেঁচে নেই, তুমিও অভুক্ত রয়ে গেলে। যদিও ভিডিও কলের মধ্যে আঁচ লেগে খাবার শকরি হয় নি ,খেতে পারতে, চাইলে।

বৃষ্টি পড়ছে বলে উপমহাদেশে সমস্ত বিবেক অন্ধ, আলমারিতে আড়ি লেগে আছে। তোমার তলার মুখ ছুঁয়ে দেখবো বলে কারফিউ ডেকে বলি ,চিৎকার করে তার দাওয়াই চড়াই , নিন্দা সকল হলে বাগান সাজাই পোষাকের

যাবতীয় মিথ্যে কথার শোরগোল, তারি নামে অন্য কোনো প্রহরের আগে



দুই.

গাভীরং জানুতে বিকেলের রক্তসন্ধ্যা নিয়ে বকের সারি উড়ছে

তিন,পাঁচ বা সাতের সমন্বয়। যাচ্ছে পশ্চিমের কোনো জলাশয়ে

বুকে পাথর বেঁধে নিজের প্রিয় পপিবনের পাশ দিয়ে

সোজা শালুকের হ্রদে

বৃষ্টিছোপানো জঙ্গম এক মোহিনী বসন্ত খুঁজে নিতে।

ল্যাভেণ্ডার ফুলের দেশে যতদূর পাতাদের মনখারাপ

ডিন কোর্ট রোড,রসকিল্ডের সেই পান্নারঙের সরোবর

যেখানে বৃষ্টিরা পানকৌড়ির কালো পেখমের ওম্ পেয়ে

স্ফটিকের মতো বেড়ে ওঠে, তারপর সারাদিন মৃদু মৃদু

কানাকানি, অভিমান , একটুখানি লুকোচুরি খেলায়

দাঁত ফোটে

উবু চৌকাঠের ঠাণ্ডায় ,শিউরে ওঠা ফোঁটার গমকে

জাতিধর্মনির্বিশেষে

জানলার গরাদখানা ক্রমে ভিজে ওঠে,অবেলার

বিষন্ন কান্নায়