আজ অন্যদেশ স্বজন কবি বিদিশা সরকারের জন্মদিনে অন্যদেশ পরিবারের অফুরন্ত শুভকামনা ও শুভেচ্ছা।
প্রলাপ নির্ভর
আমার নাব্যতায় প্রশ্ন রেখোনা
আপেল জুসের রঙে টায়রা চুবিয়ে
ঝিম মেরে পড়ে থাকা প্রথম দংশন
ভূমিকায় কতোটুকু সক্ষম বলোনি
ওড়িশি মুদ্রায় মেঘ চাঁদের ভিলায়
কথা উড়ে যায় সবই প্রলাপ নির্ভর
ফুজিয়ামা মৃত নয় শতাব্দীর শেষে
গলন্ত লাভায় হোক নিষিক্তকরণ ।
নদী বৈতালিক
এ যেন দিগন্তলীন জ্যোৎস্নার ভাষা
পাহাড় ঘুমিয়ে পড়ে সন্ধ্যার গথিক
এখন নদীতে রঙ নাই বা লাগালে
নদী তো উজান সত্ত্বা নদী বৈতালিক
তবুও ডাকবে জানি এমন জমাট
কুয়াশা জড়ানো চোখে গরম কফি'র
প্রতীক্ষা , অবশ্য দেবো রুম হিটারের
কৃত্রিম উত্তাপ আর খোঁপার তিমির
আমরা হারাবো পথ ,অজস্র গলির
প্রথম দ্বিতীয় বাঁক কথায় কথায়
আমরা দাঁড়াবো শেষ ভাঙ্গনের পাড়ে
তুমিও সহজবোধ্য এমন ভিক্ষায়
অথবা নৌকায় এসো কুপির আলোয়
ছায়ায় সক্ষম হই, ছায়া অশরীরী
ঢেলে দাও মুদ্রা সবই নদীর গভীরে
স্রোতের বিপক্ষে নয় , স্রোত অভিসারী ।
পাহাড়ী
একটা স্টিয়ারিং এর পাশে বসে কোথায় চলেছি ! হয়ত দু'জনেই পারিপার্শ্বিক কিছু অপঘাত সচেতন। আজকের তারিখটা ভুলে গেছি। কালকেরটাও। এই মুহূর্তে স্টিয়ারিং কি ভাবছে জানিনা। হয়ত পথ অথবা গন্তব্য! ওইয়াইপার মুছে দিচ্ছে বৃষ্টির নাছোড় কুমারী আত্মজা। সম্পর্ক খুঁজতে খুঁজতে ভূমিকা থেকে উপসংহার পর্যন্ত ! এভাবেই ভাবতে অভ্যস্ত।
পুরনো চিঠিগুলো দৈবাৎ খুললে অসময়েও ঝাপসা হয়ে ওঠে কাঁচ।সেখানেও তো ভূমিকা বা উপসংহার অথবা আত্মহননের ব্যর্থতাই !
ক্রমশ বিস্ময়বোধক প্রিয় মুখগুলো যখন পরিত্রাণের আবেদন রাখতে গিয়ে দরজা থেকে ফিরে যায়, আমি সেই ফিরে যাওয়াটা দেখি। আমরা যে মানুষ ছাড়া বাঁচতে শিখিনি।
আমাদের শৈশব কারো হাত ধরেই উঠে দাঁড়িয়েছে অথবা দেওয়াল। হয়তো হাত ছুটে গেলে দেওয়ালই ঘনিষ্ঠ হয়ে সুরক্ষা করবে আর দুর্ভেদ্য কোনও প্রাচীরে কান পাতলে শোনা যাবে সারেঙ্গীর নিবিষ্ট পাহাড়ী ধুন। আমরা যে এভাবেই পাহাড়ে পাহাড়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হই।