বুধবার, এপ্রিল ২৪, ২০২৪

ফল ঘোষণার আগেই সরকার গঠনে বিজেপির প্রস্তুতি​

ভারতের ১৭তম লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশ আগামীকাল। এর আগেই নতুন মেয়াদে জোট সরকার গঠনের প্রস্তাবে সই করে ফেলেছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ।

সরকার গঠনে চুলচেরা বিশ্লেষণ এবং জোট গঠনে ব্যস্ত রাজনৈতিক দলগুলো। যদিও বিরোধী দলগুলো বুথফেরত জরিপের ফল মানতে নারাজ।

তবে এরই মধ্যে মঙ্গলবার রাতে দিল্লিতে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহর নৈশভোজে অংশ নেন নরেন্দ্র মোদিসহ ডানপন্থি রাজনৈতিক দলগুলোর জোট ‘ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স’ (এনডিএ)-র মিত্ররা।

জরিপে বিজেপির সংখ্যাগরিষ্ঠতার পর অমিত শাহর আমন্ত্রণে নৈশভোজে অংশ নিতে দিল্লির অশোকা হোটেলে যান মোদিসহ এনডিএর অন্যান্য মিত্ররা। সবগুলো প্রধান দলের নেতা-প্রতিনিধি হাজির ছিলেন সেখানে।

ইউনিয়ন মন্ত্রী রাজনাথ সিং বৈঠক ও নৈশভোজ শেষে ভারতীয় গণমাধ্যমকে জানান, নৈশভোজে ৩৬টি এনডিএ মিত্র দল উপস্থিত ছিল। যে তিনটি দলের কেউ ছিলেন না সেই দলগুলোর পক্ষ থেকে লিখিত সমর্থন জানানো হয়েছে।

ফল ঘোষণা না হলেও দ্বিতীয় মেয়াদে এনডিএ সরকার গঠনে পরবর্তী কার্যপ্রক্রিয়া নির্ধারণের উদ্দেশ্যে জাতীয় নিরাপত্তা, জাতীয়তাবাদ ও উন্নয়ন – এ তিনটি বিষয়ের ওপর জোর দিয়ে তিনটি প্রস্তাবে সই করেছেন মোদি ও অমিত শাহ।

সাত ধাপের লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশকে কেন্দ্র করে ইভিএম ও ভিভিপ্যাট কারচুপিসহ নানা বিষয় নিয়ে উত্তাপ এখন ভারতজুড়ে। ফল প্রকাশের আগেই প্রায় প্রতিটি বুথ ফেরত জরিপে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন ভারতীয় জনতা পার্টির সংখ্যাগরিষ্ঠতার ইঙ্গিত দিলেও তা মিথ্যা অপপ্রচার বলে উড়িয়ে দিচ্ছে বিরোধী দলগুলো।

বুথ ফেরত জরিপ নিয়ে কর্মীদের হতাশ না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। অডিও বার্তায় ২৩ মে ফল গণনা না হওয়া পর্যন্ত গুজবে বিভ্রান্ত না হয়ে কর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।

বুথ ফেরত জরিপে বিজেপির সংখ্যাগরিষ্ঠতার কথা বলা হলেও বুথ ফেরত সমীক্ষার ফলকে মিথ্যে বলেছেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এনডিএ’র অন্যতম শরিক ই. পালানীস্বামী।

নির্বাচনে ইভিএম নিয়ে বেশ কিছু অভিযোগ এলেও দেশটির নির্বাচন কমিশনের দাবি, কোনো কারসাজি করা হয়নি। তারা বলছে, নির্বাচনে ব্যবহৃত ইভিএমগুলো নিরাপদ এবং বর্তমানে সেগুলো সুরক্ষিত রয়েছে।

তবে জরিপে মোদি এগিয়ে থাকলেও বৃহস্পতিবারের চূড়ান্ত ফল ঘোষণার পরই জানা যাবে আগামী ৫ বছরের জন্য দিল্লির মসনদে বসছেন কে।

জরিপের ফল যদি ভুল হয়, তাহলে সরকার গঠন করতে অন্যদের সাহায্য প্রয়োজন হবে মোদির। ভারতের সংবিধান অনুসারে ৫৪৩টি আসনের মধ্যে কেন্দ্রে সরকার গঠনের জন্য যে কোনো দল বা জোটের প্রয়োজন ২৭২টি আসন।