মঙ্গলবার, মার্চ ২৮, ২০২৩

বিশ্ব সিনেমায় শ্রমিক যাপনের গল্প

শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিতে সারাবিশ্বে পালিত হচ্ছে মে দিবস। দিনটি উপলক্ষে ছুটি পেয়েছেন অধিকাংশ মানুষ। গ্রীষ্মের তাপদাহে বেড়াতে যাওয়ার সাহস করতে পারছেন না যারা তারা অনেকেই বাড়িতে বসে সিনেমা দেখে দিন কাটানোর কথা ভাববেন হয়তো। শ্রমিক দিবসে পাওয়া ছুটিতে সময় কাটানোর জন্য এ সংক্রান্ত কিছু দারুণ সিনেমা দেখে নিতে পারেন। যে ছবিগুলোতে মূর্ত হয়ে আছে শ্রমিকের দুঃখ, বেদনা, শক্তি আর সংগ্রামের গল্প:


মেটওয়ান(১৯৮৭): জন স্যালেস নির্মিত ‘মেটওয়ান’ আশির দশকের সাড়া জাগানো একটি ছবি। ১৯২০ সালে স্থান পশ্চিম ভার্জিনিয়ার মেইটওয়ান নামের এক ছোট্ট শহরে কয়লা শ্রমিকদের অসন্তোষের বিস্ফোরণ এর জের ধরে ব্যাটেল অফ মেইটওয়ান নামের রক্তক্ষয়ী এক সংগ্রাম হয়। সেই ঘটনা নিয়েই তৈরি হয়েছে এই ছবি।

নরমা রাই (১৯৭৯): এই ছবির জন্য স্যালি ফিল্ড অ্যাকাডেমি পুরস্কার জিতেছিলেন। একটি টেক্সটাইল মিলের ইউনিয়ন সংগঠক এর চরিত্রে অভিনয়ের জন্য এই পুরস্কার জিতেছিলেন তিনি।

অন দ্য ওয়াটারফ্রন্ট(১৯৫৪): ১৯৪৮ সালের নভেম্বর থেকে ডিসেম্বর মাসে প্রকাশিত ম্যালকম জনসনের ক্রাইম অন দ্য ওয়াটারফ্রন্ট শীর্ষক প্রবন্ধের ছায়া অবলম্বনে এই ছবির কাহিনী তৈরি হয়েছে। ছবির মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন মার্লোন ব্র্যান্ডো। ছবিটি ১২টি বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করে এবং শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র সহ আটটি পুরস্কার লাভ করে। কাজান শ্রেষ্ঠ পরিচালনা, ব্র্যান্ডো শ্রেষ্ঠ অভিনেতা এবং সেন্ট শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে পুরস্কৃত হন।

হারল্যান কান্টি, ইউএসএ (১৯৭৬): হারল্যান কান্টি, ইউএসএ তথ্যচিত্রে বারবারা কপোল তুলে এনেছেন বঞ্চনা আর নিষ্ঠুরতার শিকার হওয়া কয়লা শ্রমিকদের কথা। ভীষণ প্রচণ্ড অনিরাপদ পরিবেশে কাজ করতে করতে এক সময় প্রতিবাদে গর্জে ওঠে শ্রমিকেরা। নির্মাতা বারবারা কপোল ছবিটি বেশ ঝুঁকি নিয়ে তৈরি করেছিলেন। এমনকি ছবির টিমকে মারও খেতে হয়েছিল শুটিং এর সময়।


দ্য গ্রেপস অব রেথ (১৯৪০): জন ফোর্ড নির্মিত জন স্টাইনবাইকের উপন্যাস অবলম্বনে তৈরি করা হয়েছে এই ছবির গল্প। এই ছবিতে কৃষকদের হতাশা, কষ্ট ও স্বপ্নগুলো নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ছবিতে।

মেট্রোপলিস (১৯২৭): ফ্রিৎজ ল্যাং এর সাইন্স ফিকশন সিনেমা ‘মেট্রোপলিস’ এ দেখানো হয়েছে শ্রমিকদের মাটির নিচে বাস করতে বাধ্য করা হয়। তারা ধনীদের দাস হয়ে থাকে। ধনীরা থাকে মাটির উপরের পৃথিবীতে। ছবিটি নির্বাক ছবি।

নাইট টু ভাইভ (১৯৮০): কলিন হিগিনস নির্মিত এই ছবিটি তিন কর্মজীবী নারীকে নিয়ে তৈরি হয়েছে। কমেডি এই সিনেমাটিতে অভিনয় করেছেন জেন ফনডা, লিলি টমলিন এবং ডলি পারটন।

অফিস স্পেস (১৯৯৯): মাইক জাজ নির্মিত আমেরিকান এই কমেডি সিনেমাটি আজকের দিনে দেখার জন্য দারুণ একটি সিনেমা হতে পারে। নব্বইয়ের দশকের একটি সফটওয়্যার কোম্পানির নিয়মিত কর্মজীবন এবং তার সঙ্গে সম্পর্কিত বিরক্তি নিয়ে তৈরি হয়েছে ছবিটি।

সিজার স্যাভেজ (২০১৪): ম্যাক্সিকান-আমেরিকান বায়োগ্রাফিকাল এই ছবিটি পরিচালনা করেছেন দিয়েগো লুনা। আমেরিকান শ্রমিক সিজার স্যাভেজ এর জীবন নিয়ে নির্মিত হয়েছে এই ছবিটি।

বাউন্ড ফর গ্লোরি (১৯৭৬): হাল আসবি নির্মিত এই ছবিতে ফোক গায়ক উডি গুতরির আত্মজীবনীতে তুলে ধরা শ্রমিক আন্দোলনের কাহিনীটাকে খুব সুন্দরভাবে চিত্রায়ন করা হয়েছে।