বৃহস্পতিবার, মার্চ ২৮, ২০২৪

মহাসত্যের বিপরীতে,পর্ব ১৬

উষ্ণ রাতে তৃষ্ণা জাগে/ সুরঝর্ণার শৈত্যদাহে/ তৃপ্তি তখন প্রাপ্তি শুধু/ আকন্ঠ সুখ মদিরাপানে, ও কোজাগরী চাঁদ/ এখন তুমি শাসন করো/ তোমার নীলাম্বরী রাজ। - (সমাহিত ধুলি) – শংখশুভ্র দেববর্মণ

# ষোল

গরব এতক্ষণে ঠিক করে নিয়েছে যে সে দেচমাকে সঙ্গে নিয়ে খ্যাং তিসে যাবে। কেমন করে সঙ্গীদের একটি যুক্তিযুক্ত কারণ দেখাবে তা নিয়ে ভাবতে ভাবতেই সরাইখানায় ফেরে। আস্তাবলে ঢুকে নাগপোকে জড়িয়ে ধরে একটা চুমু খায়। নাগপো থিরথির করে কেঁপে ওঠে। এই কম্পন গরবকে আরও রোমাঞ্চিত করে। লামা বর্ণিত দ্বিধার জাল ছিড়ে বেরুতে যতটা সময় লাগে নতুন পরিকল্পনা করতে তার থেকে অনেক কম সময় নেয় সে। সবার সঙ্গে খেতে বসে গরব নিচুস্বরে বলে, তোদের জন্যে একটি অপ্রত্যাশিত খবর রয়েছে, প্রথা অনুসারে সুযোগ থাকলে আমরা যে কোনও যাত্রার আগে যেমন জ্যোতিষীর কাছে যাই, আজও তেমনি গেছিলাম। লাসায় জ্যোতিষীর অভাব নেই। কিন্তু আমি কোনও বৃদ্ধ গণৎকারের কাছে না গিয়ে মঠে গিয়ে এক ত্রিকালদর্শী লামার সঙ্গে দেখা করি। একটু বেশি প্রণামী দিতে হয়েছে অবশ্য। আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করি, আমাদের ফেরার পথে সবকিছু ভালো হবে কিনা!

আমাকে চমকে দিয়ে তিনি বলেন, তোর প্রণামী ফিরিয়ে নে, তোরা অন্যদের অনেক কষ্ট দিয়েছিস, ভু - গ - বি !

ওর কথা শুনে ডাকাতদের চোখগুলি বিস্ফারিত হয়। তারা উৎকণ্ঠা নিয়ে গরবের দিকে তাকায়। গরব বলে, আমি তাঁর সামনে হত্যে দিয়ে প্রতিকার ভিক্ষা চাইলে তিনি অনেকক্ষণ ভেবে বলেন, তুই খ্যাং তিসে তীর্থে যা!

ওর কথা শুনে সবাই হা হয়ে যায়। কেউই কোনওরকম সন্দেহ করেনা। ওরা গরবকেএতই অন্ধের মতন বিশ্বাস করে যে সে কোনও ব্যক্তিগত কারণে জ্যোতিষীর বয়ান পাল্টে ওদের শোনাবে তা ওরা কল্পনাও করতে পারে না। ওরা ছোটবেলা থেকেই এরকম আজব সব নিদান শুনে অভ্যস্ত। ওরা বিশ্বাস করে এসব নিদান শুনলেই ওদের ভালো হবে; ইহকালে না হলেও পরকালে অবশ্যই যা ভালো হবে। নরবৌলিং প্রাসাদ থেকে সরাইখানায় ফেরার পর থেকেই কয়েকজন দস্যূর তো বাড়ির জন্য মন কেমন করছিলো। তাদের মধ্যে একজন জিজ্ঞেস করে, সবাইকেই খ্যাং তিসে যেতে হবে?

গরব হেসে বলে, না লামার উপদেশ শুধু আমার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, কেননা তিনি ‘তুই’ বলেছেন,’তোরা’ বলেননি, আমি তাঁর উপদেশকে আদেশ হিসেবে শিরোধার্য করেছি, তোরা আমাকে নেতা বানিয়েছিস, দলের মঙ্গলের জন্য আমি যেখানে খুশি যেতে প্রস্তুত, আর ওটা তো মহাতীর্থ খ্যাং তিসে! - বাকিরা বাড়ি ফিরে যা! শুধু দুজন আমার সঙ্গে থাকতে পারিস, অবশ্য যদি তোদের আপত্তি না থাকে, ৎসোণ্ডু আর গোরিং। দুজনেই হেসে জবাব দেয় — মহানন্দে যাব। গোরিং বলে, আমাদের সৌভাগ্য!

মিতভাষী ৎসোণ্ডর শরীরী ভাষাও একই রকম। দুএকজন ওদের সৌভাগ্যে ঈর্ষাবোধ করে। একজন মজা করে বলে, তোমার প্রেমিকাকেও সঙ্গে নেবে না সর্দার?

গরব থেকে বয়সে বড় এক দস্যূ ইয়ার্কি মারে, আমার মনে হয় না গরব আমাদের হাতে ওর দায়িত্ব সপে দেবে!

একথায় অন্য সবাই হেসে ওঠে। গরবও হেসে বলে, না ভাই , আমার এমন কোনও ইচ্ছা নেই!

হঠাৎ সরাইখানার সদর দরজার সামনে অনেকক্ষণ ধরে স্থির দাঁড়িয়ে থাকা গাধাটা –ঢ্যাঁচু ঢ্যাঁচু করে ডাকতে শুরু করে। এই ডাক ওদের সবার কাছে শুভ সংকেত বলে মনে হয়। ওরা সবাই ভক্তিভরে নিজের নিজের কপালে হাত ঠেকায়।

খাওয়ার পর সমস্ত জিনিস বিক্রি করে ওরা যা পেয়েছে গরব খুশিমনে তার সিংহভাগই দলের সবার মধ্যে ভাগ করে দেয়। পাশাপাশি দলের যেসব সদস্য আগেই গ্রামে ফিরে গেছে তাদের ভাগও নিজের হাতে ভাগ করে ওদেরকে আলাদা করে দেয়। শুধুমাত্র কটা ঘোড়া ও খচ্চর ওদের চারজনের সঙ্গে খ্যাং তিসে যাবে আর কটা অন্যরা গ্রামে নিয়ে যাবে সেই ভাগ বাকি থেকে যায়।

গরব তার অবর্তমানে দলের শৃঙ্খলারক্ষার খাতিরে কিছু আদেশ দেয়। সে বলে, আমি যতদিন না ফিরছি তোরা শান্তিপূর্ণভাবে নিজেদের চাষবাস আর পশুপালন নিয়েই ব্যস্ত থাকিস। যার যার নিজের তাঁবু কিংবা বাড়ি ছেড়ে পারতে কোথাও যাবি না। বিশেষ করে কোনও অভিযানে তো যাবিই না!

গাধাটা আবার ঢ্যাঁচু ঢ্যাঁচু করে ডেকে ওঠে। গরব গলা বাড়িয়ে দেখে যে গাধাটি বিশাল লিঙ্গ বের করে স্থির দাঁড়িয়ে ওর দিকে একদৃষ্টে তাকিয়ে আছে। এটা শুভ সংকেত কিনা সে জানে না! কিন্তু সে আরও সতর্ক এবং গম্ভীর হয়ে পড়ে। অন্যরা সবাই আবার নিজের নিজের কপালে হাত ঠেকায়। গরবের প্রতি প্রত্যেকের নিষ্ঠা বেড়ে যায়।

একটু থেমে গরব জলদগম্ভীর কণ্ঠে বলে, এটা আমার কড়া আদেশ! গত অভিযানটি খুবই লাভজনক ছিল। যাদের লুটেছি তাঁরা সবাই নিরস্ত্র সাধারণ মানুষ হলেও এদের মধ্যে বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীও ছিল। ওরা নিশ্চয়ই ফেরার পথে এবং নিজের শহর কিংবা গ্রামে ফিরে স্থানীয় থানায় আর প্রশাসনের কাছে অভিযোগও জানিয়েছে। ফলস্বরূপ যেসব কাফেলা আমাদের পথ দিয়ে যাওয়ার কথা ছিল তারা নিশ্চয়ই ভয়ে যাত্রা বাতিল করেছে কিংবা অন্য পথ বেছে নিয়েছে। এসব কারণেই এখন উত্তরে চিনের পশ্চিম প্রান্তে একজন মুসলমান সেনানায়ক রয়েছে, সে আমাদের পেছনে পড়ে আছে। সেনা পাঠিয়ে সে আমাদের খুঁজছে! এখন আমাদের কর্মক্ষেত্র এলাকায় মাঝেমধ্যেই ভ্রাম্যমাণ সেনাবাহিনী পাঠাচ্ছে। আমি লাসায় এসব কথা পর্যটকদের বলাবলি করতে শুনেছি। সোণ্ডু আর গোরিং আমার থেকে বেশি শুনেছে। ওরা শুনেছে যে, সুযোগ পেলেই ওই সেনানায়ক আমাদের তেজি ঘোড়াগুলিকে নিজের অশ্বারোহী সেনার কাজে লাগানো আর আমাদের গরু আর ভেড়াগুলিকে ওর সৈন্যবাহিনীর খাদ্য করার কথা প্রকাশ্যে ঘোষণাও করেছে। এসব ঝামেলা আমার পছন্দ নয়। আমাদের তাই কিছুদিন সতর্ক থাকতে হবে । বেশ কিছুদিন আমরা যা উপার্জন করেছি তা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকি । অন্ততপক্ষে বছরখানেক কিংবা বছর দেড়েক! তারপর যখন প্রশাসন এসব ঘটনা ভুলে যাবে আমরা আবার মুক্তমনে আচমকা অভিযানে নামবো।

খাওয়ার পর এক চুমুক জল খেয়ে গরব বলে, এটাও সম্ভব যে আমার খ্যাং তিসে যাত্রা আমাদের ব্যবসার জন্যে সুফলদায়ক হবে। দেখি খ্যাংতিসের কাছাকাছি অথবা যাত্রাপথে এমন কোনও এলাকার সন্ধান পাই কিনা। যেখানে আমরা নির্বিঘ্নে রোজগার করতে পারবো , আবার প্রয়োজনে দীর্ঘদিন আরামে লুকিয়েও থাকতে পারবো । আমরা যে যে দেবতার আশীর্বাদ ধন্য তাদেরও হয়তো এটাই ইচ্ছে তাই এমন মো-আদেশ হয়েছে। — এই সমস্ত কিছুই আমরা এই যাত্রায় জানতে পারবো।

দলের সবাই বিড়বিড় করে দলপতির দূরদর্শিতার প্রশংসা করে। বুদ্ধি করে সে ঐশ্বরিক শক্তিকেওকাজেলাগাচ্ছে । আগেরদিন সবাই র মহামহিম সর্বজ্ঞ দলাই লামার আশীর্বাদ পেয়েছে । এদিন জ্যোতিষী হে লামা নিশ্চয়ই এমনি কোনও শুভ - সংকেত দিয়েছেন সর্দারকে। এতেই ওদের মঙ্গল।

এতক্ষণ ওরা চুপচাপ গরবের কথা শুনছিল। এবার ওরা হঠাৎ সরব হয়ে নাম না করে তাদের নেতার প্রশংসা করতে শুরু করে। - একজন দরজা খুলে সরাইখানার এক কর্মচারীর হাতে টাকা দিয়ে কয়েক জগ মদ আনতে বলে। এটা মিলিত সিন্ধান্ত। এই মো-আদেশকে সবারইঅন্ততপক্ষেএকবাটি করে মদ খেয়ে উদ্যাপন করা উচিত।কাল সকালেই সবারই তো পরস্পরের কাছ থেকে বিদায় নিতে হবে। আবার কতদিন পর তাদের প্রিয় দলপতির সঙ্গে দেখা হবে কে জানে !

মদ এসে গেলে চুমুক চুমুক মদ খেতে খেতে ওরা প্রথমে খ্যাং তিসে গামী চারজনের উপযোগী যথেষ্ট ৎসাম্পা, মাখন, চা ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রে থলেগুলি তৈরি করে। এই কাজে কয়েকঘণ্টা লেগে যায়। গরব কিছু অতিরিক্ত কেনাকাটার জন্যে শহরে যায়। এমন হঠাৎ সিদ্ধান্ত নিয়ে এহেন বড় অভিযানে বেরিয়ে পড়ার প্রস্তুতিতে সে উত্তেজিত। জ্যোতিষীর ভবিষ্যদ্বাণীর সঙ্গে নিজের কথা মিশিয়ে সে দলের সবাইকে যতই টুপি পরাক, শহরের পথে একা বেরিয়ে সে আবার আগের উত্তেজনা অনুভব করে। সে যে শুধুই দেচমার সঙ্গে অভিসারের দিনগুলির সংখ্যা অনেক বাড়িয়ে নিতে এত বড় একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটা কাউকেই বলা সম্ভব নয়। এমনকি দেচমাকেও তা খুলে বলা যাবে না। একা পথে বেরিয়ে আবার নিজের মনের কাছে , সত্যের মুখোমুখি হয়ে সেএকটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে। টের পায় যে বাস্তবে ওর জীবনের একটি অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি ঘটেছে। তাকে এখন সামনে যা আসছে তার মুখোমুখি হওয়ার জন্য তৈরি থাকতে হবে, সতর্ক থাকতে হবে। এভাবেই সারা বিকেল গরব দেচমা থেকে দূরে থেকে ওকে গন্তব্য বদলের কথা বলতে পারেনি। সে জানে, এই সিদ্ধান্ত শুনলে দেচমা যারপরনাই খুশি হবে। এবং সে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দেচমার ওই আনন্দ ঝলমল চেহারা দেখতে চায়!

দেচমা গরবের দীর্ঘ অনুপস্থিতি নিয়ে বিন্দুমাত্র শঙ্কিত নয়। সে জানে দীর্ঘযাত্রা শুরুর আগে দলপতির অনেক কাজ থাকে। সবদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সে নিজেও এই সময় একা থাকতে চেয়েছিল। যাতে প্রায়শ্চিত্ত বিষয়ক ওর সিদ্ধান্তকে কিভাবে বাস্তব রূপ দেবে তা নিয়ে সুষ্ঠু পরিকল্পনা করতে পারে। দুপুরে খাওয়ার পর গরবকে বেরিয়ে যেতে দেখে দেচমাও ভেতর থেকে দরজার খিল তুলে দেয়। শরীর অসুস্থ ভেবে কেউ ওকে বিরক্ত করে না।

গরব আর তার দস্যুদলের সঙ্গে দেচমার যেখানে দেখা হয়েছিল সেই অঞ্চল থেকে ওর বাড়ি অনেক দূরে । সেখানে পৌঁছুতে ওকে একটি বিশাল জনসবতিহীন এলাকা পেরিয়ে যেতে হবে। ওই পথে পর্যটকরা বড় দল নিয়ে কাফেলা বানিয়ে যায়। সে একা কেমন করে ওই দীর্ঘপথ অতিক্রম করবে? রাতে গরব ফিরে এলে তার কাছেই সব খুলে বলার অক্ষেপায় থাকে দেচমা । সে কি তাকে গ্রামে পৌছে দিয়ে আসবে? সে নিশ্চয়ই কোনও উপায় খুঁজে বের করবে।

সন্ধ্যা নামতেই সরাইখানার পরিবেশ শান্ত হয়ে পড়ে। গরবের দলের সবাই ঘুমুতে চলে যায়। পরদিন কাকভোরে ওদের পথে বেরিয়ে পড়তে হবে। গরবও দোতলায় উঠে টানা বারান্দায় দাঁড়িয়ে একবার মায়াময় শহরটার দিকে তাকায়। আকাশে তখন বিশাল একটা চাঁদ লাহসা শহরটিকে স্বপ্নপুরী করে তুলেছে। কনকনে ঠাণ্ডা বাতাস বইছে। সে ধীরে নিজের কামরার দরজায় টোকা দেয়। দেচমা দরজা খুলতেই সে দু’হাত বাড়িয়ে তাকে জড়িয়ে ধরে বলে, আমরা বাড়ি ফিরছি না, আগামীকাল আমরা দুজন আর দুজন সঙ্গীকে নিয়ে খ্যাং তিসে রওয়ানা হবো। মাসের পর মাস পাশাপাশি ঘোড়া চালিয়ে যাবো, রাতে একসঙ্গে থাকতে পারবো; এটাই তো তুমি চেয়েছিলে প্রিয়তমা! – আমি - গরব শোনো - আমি তোমাকে বলতে চাইছিলাম - !

কিন্তু সে কিছুই বলতে পারে না। গরব তার ঠোঁটে ঠোঁট চেপে ধরে। গরব ওর কোনও কথাই শোনে না। ওর আবেগ আর কিছু বলতে চাওয়াকে সে দেচমার উচ্ছ্বাসের প্রকাশ ভেবে অনেক আদরে আদরে আচ্ছন্ন করে তোলে। দেচমা তার প্রেমিকের এহেন আদরে সাড়া না দিয়ে পারে না। উষ্ণ রাতে তৃষ্ণা জাগে, সুরঝর্ণার শৈত্যদাহে উন্মাদের মতন গ্রহণ করতে থাকে গরবের শরীরের প্রতিটি স্পন্দন। শিহরিত হতে থাকে। আর তারপর শীৎকারে ভরিয়ে দিতে থাকে সবল পুরুষের দম্ভকে। এই ঝড়ের দাপটে দেচমা ভুলেই যায় যে সে যেন গরবকে কী বলতে চেয়েছিল। গরবও তার সারাদিনের অস্বস্তির কথা বলতে পারেনি। দুজনের দুর্ভাগ্য চিন্তা, প্রায়শ্চিত্ত আর নরকবাসের ভয়, ভালোবাসার আবেগ ও শরীরী আশ্লেষে উড়ে যায়। তারপর ওরা ঘুমিয়ে পড়ে।

জানালার কাচে সাটা পাতলা কাগজের ছাকনি ভেদ করে ওদের শয়নকক্ষে ভোরের আলো প্রবেশ করার অনেক আগেই ৎসোণ্ডু দরজায় কড়া নেড়ে চা দিয়ে যায়। ওরা তাড়াতাড়ি উঠে তৈরি হয়ে নেয়। তারপর সবাই একসঙ্গে পথে বেরিয়ে ধীরে ধীরে শহরের প্রান্তে চোরতেনটির কাছে পৌঁছোয়। সেখানে প্রত্যেকে প্রণাম জানায়। উভয় দলই পরস্পরকে শুভেচ্ছা জানায়, - তোমাদের যাত্রা সুখময় হোক, উদ্দেশ্য সফল হোক!

তারপর যে যার ঘোড়ায় চেপে ওরা চারজন দক্ষিণমুখী অজানা পথে আর বাকিরা উত্তর-পশ্চিমমুখী পথে বেরিয়ে পড়ে।