শুক্রবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৪

মহাসত্যের বিপরীতে, পর্ব - ১

-- কয়েকটি পর্ব প্রকাশিত হয়েছিল 'ত্রিপুরা ফোকাস' ওয়েবসাইটে । অনিবার্য কারণে 'ত্রিপুরা ফোকাস'টি অনিয়মিত থাকার দরুণ শ্যামল ভট্টাচার্যের সাড়া জাগানো উপন্যাস 'মহাসত্যের বিপরীতে' এখন থেকে নিয়মিত অন্যদেশ নিউজ পোর্টালে প্রতি রোববার ।

এক. বাহান্ন ডাকাত ও একটি মেয়ে

চারপাশের দিগন্ত বিস্তৃত মেঘহীন নীল আকাশের নিচে দূরবর্তী পর্বতমালাবেষ্টিত শুষ্ক মালভূমি। কোথাও একটিও পাখি উড়ছে না, কোনও জনপ্রাণীর চিহ্নমাত্র নেই। নিঝুম চরাচর। পৃথিবীর ছাদ। পুনর্জন্মে বিশ্বাসী তিব্বতিদের ধারণা মানুষ ও সমস্ত জীবজন্তুর বিদেহী আত্মারা এই মালভূমিতে আশ্রয় নেয়। প্রকৃতির শত্রু আর নগর সভ্যতার স্রষ্টা মানুষদের থেকে ওরা যতটা সম্ভব দূরে থাকে। ওরা এই নীরবতা পচ্ছন্দ করে।

সেই উচ্চভূমির একটি গভীর ও সঙ্কীর্ণ গিরিখাতে সেদিন আত্মাদের দৌরাত্ম্য ছাড়াও গোটা পঞ্চাশেক শক্ত চোয়াল যুবক মোটা ভেড়ার চামড়ার পোশাক আর সাদা ছুঁচলো ফেল্ট টুপি (হ্যাট) পরে ঘোড়ার পিঠে বসে নীরব প্রতীক্ষায়। অতি ব্যবহারে সেই সাদা রঙ এখন প্রায় ছাইরঙা বাজ-পাখির ডানার মতন। ওদের চোখগুলি ওৎ পেতে থাকা নেকড়ে বাঘের মতন দূরবর্তী পাহাড়গুলির দিকে নিবদ্ধ।

সবার সামনে গিরিখাতের মুখে পাহাড়ের দেওয়ালে হেলান দিয়ে ঘোড়ার পিঠে বাদশার মতন পা এলিয়ে বসে রয়েছে ওদের নবীন দলপতি। সে এতটাই স্থির যে শুকিয়ে হলুদ হয়ে যাওয়া ঘাস, কাটাঝোঁপ আর বাদামি পাহাড়ের প্রেক্ষিতে খুব কাছে থেকে না দেখলে ওকে বা দলের কাউকে আলাদাভাবে বোঝা যাবে না। এরা অনেকক্ষণ ধরেই এমনি অপেক্ষায় স্থির। দলনায়কের দৃষ্টিও মালভূমির অন্যপ্রান্তে একটি নির্দিষ্ট দিকে নিবদ্ধ। কিন্তু সে-ও পাথরের মূর্তির মতন স্থির। একটা গিরগিটি পাহাড়ে খাঁজে বসে দলনায়কের টুপির দিকে তাকিয়ে। হঠাৎই সে ভ্রু কোঁচায়। ধীরে ধীরে সোজা হয়ে বসে। দূর-দিগন্তে পাহাড়ের পাদদেশে একটি কালো বিন্দু দেখা যায়। ক্রমে বিন্দুটি স্পষ্ট হয়। তারপর ধীরে ধীরে আকারে বাড়তে থাকে। বোঝা যায় সে এগোচ্ছে। একদল মানুষ কিম্বা একপাল প্রাণী এগিয়ে আসছে। দলপতি তেমনি স্থির। দলপতি পেছন দিকে না তাকিয়ে শুধু বাঁ হাত ওপরে তোলে। একটা চাপা গুঞ্জনের পর দলের সবাই আবার আগের মতন চুপ।

কালো বিন্দুগুলি ক্রমে পাহাড়ের ওই নির্দিষ্ট বিন্দু থেকে দু’দিকে ছড়িয়ে পড়তে থাকে। দলের সবাই এবার সেই গতিশীল বিন্দুগুলিকে দেখতে পায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই বোঝা যায় এটি গাধা ও খচ্চরের পিঠে চেপে এগোতে থাকা একটি বিশাল কাফেলা। পৃথবীর সমস্ত মরুভূমিতে আর তিব্বতের শুষ্ক মালভূমিতে যাত্রীরা নিরাপত্তার জন্যে এমনি একসঙ্গে দল বেঁধে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যায়। কিছুক্ষণ পরই সম্পূর্ণ যাত্রীদলটি স্পষ্ট দেখা যায়। ওরা এই গিরিপথ দিয়েই মালভূমির এই অংশ থেকে অন্য অংশে যাবে। ধীরে ধীরে কাফেলাটা আরও কাছে চলে আসে। তখনই হঠাৎ ঝোঁপের আড়ালে পাহাড়ের গায়ে লেপটে থাকা অশ্বারোহী দলের নেতা তার রাইফেল উঁচিয়ে হুঙ্কার ছাড়ে। ঘোড়ার পেটে জুতোর গোড়ালি দিয়ে খোঁচা দেয়। ঘোড়া ছুটতে শুরু করে। পেছন পেছন অন্য অশ্বারোহীরাও সমবেত হুঙ্কারে আকাশ- বাতাস ত্রস্ত করে ঘোড়া ছোটায়। গিরগিটিটা ছুটে পাহাড়ের কোটরে লুকিয়ে পড়ে।

ব্যাপারটা কী হল, গাধা ও খচ্চর আরোহী ক্যারাভানের সদস্যরা তা বুঝে ওঠার আগেই ডাকাতরা শূন্যে গুলি ছুঁড়তে ছুঁড়তে তাদের ঘিরে ফেলে। ভারবাহী প্রাণীর ত্রাসে পিঠের বোঝা ও যাত্রীদের মাটিতে ফেলেই যে যেদিকে পারে উর্ধ্বশ্বাসে ছুটতে শুরু করে।

তিব্বতে প্রায় সমস্ত যাত্রাপথেই তখন দস্যুরা এভাবে হঠাৎ আক্রমণে যাত্রীদলকে হতভম্ব করে দিয়ে কাবু করতো। এতে যাত্রীরা নিজেদের সুরক্ষার কোনও সুযোগই পেত না। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দস্যুরা ওদের সর্বস্ব লুট করতো না প্রাণের ভয়ে যাত্রী দল ওদের সঙ্গে একটা রফায় আসতো। তারপর যাত্রীরা এদিক ওদিক ছড়িয়ে পড়া খচ্চর ও গাধাগুলিকে একত্র করে, মাটিতে পড়ে যাওয়া পুটলিগুলি কুড়িয়ে নেওয়ার আগেই ডাকতরা ঘোড়া ছুটিয়ে অদৃশ্য হয়ে যেত। অবশ্য কাফেলায় ব্যবসায়ীদের দল থাকলে ধনসম্পদের সুরক্ষার স্বার্থে তারা সশস্ত্র থাকতো। তখন দস্যুরা আক্রমণ করলে গুলি বিনিময় হতো। ডাকাতদলকেও বেশ ঝক্কি পোহাতে হতো। অনেক সময় প্রহরীদের বা কোনও ডাকাতের মৃত্যুও হতো। মৃত্যু হতো যাত্রীদেরও।

কিন্তু সেদিন ছিল সাধারণ গোবেচারি একদল তীর্থযাত্রীর কাফেলা। এরা ধর্মগুরু দালাই লামার উদ্দেশ্যে যথাসাধ্য প্রণামী ও উপঢৌকন নিয়ে লথসা যাচ্ছিল।

ডাকাতের দল চরের মাধ্যমে এই দলটির খবর পেয়েছে। ওরা কতগুলো ঘোড়া, গাধা ও খচ্চরের পিঠে কত দানসামগ্রী, ভারী রুপোর বাসনপত্র এবং চিনাংশুক নিয়ে যাচ্ছে। ওদের সঙ্গে থাকা প্রহরীরা ডাকাতদলের অতর্কিত আক্রমণের সামনে যে খড়কুটোর মতন উড়ে যাবে, সে খবরও ওরা পেয়েছে।

এরকম অগ্রিম খবরকে বিশ্লেষণ করে রণকৌশল তৈরি করে সর্দার। ডাকাতরা ওদের ওপর রে-রে করে হামলা পড়ার মুহূর্তেই তীর্থযাত্রীরা বুঝে গেছিল যে এখন ওরা লুন্ঠিত হবে। ওদের প্রহরীদের প্রতিরোধ কয়েক মুহূর্তও টেকেনি। পুরুষরা মাথা নিচু করে আর মহিলারা কাঁদতে কাঁদতে ডাকাতদের কাছে করুণাভিক্ষা করতে থাকে। অবশ্য তাদের কারুর প্রাণের ভয় ছিল না। তীর্থযাত্রীদের কাছে যেহেতু কোনও আগ্নেয়াস্ত্র ছিল না, কোনও গুলি বিনিময়ের সম্ভাবনাও ছিল না। তিব্বতের ডাকাতরাও পারতে কাউকে হত্যা করতে চায় না। বাধ্য না হলে কেউ কাউকে মারে না। ডাকাতরা এমনিতে অকুতোভয় হলেও পারস্পরিক বিশ্বাসে এরা ধর্মভীরু। অবশ্য ওরা যা চায় তীর্থযাত্রীদের মধ্যে কেউ তা না দিলে ওরা ছেড়েও দেবে না।

কিছুক্ষণের মধ্যেই তীর্থযাত্রীদের অধিকাংশ থলি, সবক’টা ঘোড়া, অধিকাংশ খচ্চর, গয়না, বাসন আর টাকা ছিনিয়ে নেয় ডাকাতরা। অবশ্য তীর্থযাত্রীদের যাতে নিকটবর্তী জনবসতি পর্যন্ত পৌঁছতে পারে সেরকম খাদ্যসামগ্রী এবং সেগুলি বহন করার জন্যে কয়েকটি কমদামী পশুকে ওরা ছেড়ে দেয়।

ঘন্টাখানেকের মধ্যেই লুন্ঠিত শোকগ্রস্ত তীর্থযাত্রীরা যেদিক থেকে এসেছে সেদিকেই পায়ে হেঁটে ফিরে যায়। যে উদ্দেশে ওরা রওনা হয়েছিল তা ব্যর্থ হওয়ার শোকের থেকেও এখন ওরা কেমন করে ফিরে যাবে সেই চিন্তায় ম্রিয়মান। এদের মধ্যে অধিকাংশই সম্পন্ন চাষী ও পশুপালক। এরা কখনও পায়ে হেঁটে এত দীর্ঘপথ পেরোয়নি। মনে মনে ওরা দালাই লামার কাছে এই অন্যায়ের প্রতিবাদ জানিয়ে বিচার প্রার্থনা করে, ওদের সর্বনাশ কামনা করে।

ডাকাতরা দ্রুত লুন্ঠিত খচ্চরগুলির পিঠে সমস্ত জিনিস চাপিয়ে সেগুলিকে সারিবদ্ধভাবে বেঁধে নেয়। ঘোড়ার লাগামগুলিকেও তেমনি দড়ি দিয়ে বেঁধে ওদের ঘোড়ার লাগামের সঙ্গে বেঁধে নেয়। অনেক দূর চলার পর এই লুটের মাল ভাগ-বাঁটোয়ারা হবে। এসব কাজ সেরে ওরা ফেরার জন্য রওনা হতেই পাশের একটি ছোট টিলার আড়াল থেকে বেরিয়ে আসে এক সুন্দর যুবতী। সে ছুটে এসে দু’হাত ছড়িয়ে ডাকাতদলের সামনে দাঁড়ায়। সে নিশ্চয়ই ওই তীর্থযাত্রী দলের কেউ। সে কেন দলের সঙ্গে ফিরে গেল না ?

ওকে দেখে ধাতস্থ হওয়ার পরই ডাকাতরা নানারকম প্রশ্ন করতে থাকে। - মেয়েটি কা চায় ? – সে কেন ফিরল না ? – সে কি তার কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া কোনও পছন্দের অলংকার ফিরে পেতে চায় ?সে কি আদৌ কোনও গয়না পরেছিল, নাকি লোভের বশবর্তী হয়ে অন্য কারও গয়না চাইতে এসেছে। ডাকাতরা বিভ্রান্ত। লুটের সময় তো আর এরা মেয়েদের মুখের দিকে তাকিয়ে দেখেনি। মুখের দিকে তাকালে অনেক সময় লুঠ করা কঠিন হয়ে পড়ে। মেয়েটি মিথ্যেবাদীও হতে পারে। সেক্ষেত্রে তাকে শাস্তি দেওয়া উচিত। দলের সঙ্গে যেহেতু ফেরেনি এখন একা একা এই নির্জন পথে ফিরে যাক। ডাকাতরা সবাই চেঁচাতে থাকে। যার মুখে যা আসে বলতে থাকে। কিন্তু মেয়েটি পাথরের মূর্তির মতন তেমনি ওদের পথ আগলে দাঁড়িয়ে থাকে। সে কি ওদের টিটকিরি আর হুমকিগুলি শুনতে পাচ্ছে না ? – বধির ?

এমনিতে মেয়েটি তন্বী ও দীর্ঘাঙ্গী, সুন্দরী, সে শুধু তার চোখ দু’টি মেলে দলনায়কের দিকে মুগ্ধ দৃষ্টিতে তাকিয়ে অপলক। দলপতিও ঘোড়াটাকে নিয়ে ওর সামনে গিয়ে দাঁড়ায়। সে জিজ্ঞেস করে, তুই অন্যদের সঙ্গে যাসনি কেন ? তুই কি গোয়েন্দা ? কেউ আমাদের নজর রাখার জন্যে নিয়োগ করেছে ? নাকি পাগল ? এক্ষুনি ছুটে গিয়ে তোর দলের লোকের সঙ্গে ফিরে যা। নাহলে ভীষণ সমস্যায় পড়বি। মেয়েটা তেমনি স্থানুবৎ দাঁড়িয়ে দলপতিকে অপলক দেখতে থাকে। দলপতি এবার তাঁর বাজখাই আওয়াজে চিৎকার করে বলে, তুই শুনতে পাচ্ছিস না ? যা ভাগ। মেয়েটি এবার নরম স্বরে বলে, - তোমাকে আমি স্বপ্নে দেখেছি। - কী ? নবীন দলপতির বিস্ময় আর মেয়েটির কথা শুনে ডাকাতরা সবাই হো হো করে হেসে ফেলে। কিন্তু দলপতি হাসে না। সে গম্ভীর মুখে ভ্রু তুলে জিজ্ঞেস করে, তুই কি চাস্ ?

মেয়েটি অস্ফুট আওয়াজে বলে, তো-মা-কে ! তারপর একটু জোরে বিনীত কন্ঠে বলে, - আমাকে তোমার সঙ্গে নিয়ে চল ! ওর কথা শুনে দলের সবাই অবাক। দলপতি একমুহূর্ত কী ভেবে পেছনে তাকিয়ে বলে, ওকে একটা ঘোড়ার পিঠে চাপিয়ে দে, একজন সেই ঘোড়ার লাগাম নিজের হাতে রেখে ওকে নিয়ে চল ! তারপর দলপতি ঘোড়ায় চড়ে এগিয়ে যায়। একবারও মেয়েটির দিকে ফিরে তাকায় না। ডাকাতরা সফল লুন্ঠনে খুশি। তার উপর ওদের জন্যে এমনি এক উটকো সুন্দরী এসে পড়ায় বেশ মজা পেয়ে যায়। ওরা পরস্পরের সঙ্গে ঠাট্টা ইয়ার্কি করতে করতে এগোতে থাকে। কিন্তু ঘোড়ার পিঠে অভ্যস্ত সওয়ারির মতন নির্বিকার এগিয়ে চলে। সে যেন ওদের কোনও ঠাট্টা ইয়ার্কি শুনতে পাচ্ছে না। অথবা তার আভিজাত্য এসব ঠাট্টা ইয়ার্কিকে উপেক্ষা করছে।

ডাকাতরা মাঝরাত পর্যন্ত একবারও না খেয়ে ঘোড়া চালাতে থাকে। আকাশে পূর্ণিমার চাঁদ উজ্জ্বল। সরু আকাবাঁকা পাহাড়ি পথে চলতে চলতে ওরা একটি ঝর্ণার জলের অববাহিকা ঘিরে একটি ছোট্ট তৃণভূমিতে এসে পৌঁছায়। দলপতি হাত উঁচিয়ে সবাইকে সেখানেই দাঁড়াতে ইশারা করে।

দ্রুত ঘোড়া থেকে নেমে সবাই আগে হালকা হয়, পেচ্ছাব সারে। তারপরই দ্রুত হাতে তাঁবু খাটাতে শুরু করে। তাঁবু খাটানো হয়ে গেলে ওরা লুট করে আনা ভারবাহী জন্তুগুলির পিঠ থেকে সমস্ত লুটের মাল নামিয়ে দু’টো তাঁবুর মধ্যে তা থরে থরে সাজিয়ে রাখে। তারপর প্রাণীগুলিকে এমনভাবে সারিতে বেঁধে রাখে যাতে ওরা যখন ইচ্ছে ঘাস-জল ঘেতে পারে। তারপর চারপাশে নিশ্ছিদ্র প্রহরার ব্যবস্থা করে ওরা গোল করে খাটানো তাঁবুগুলির মাঝে প্রশস্ত জায়গায় শুকনো ডালপালা জড়ো করে আগুন ধরায়। সেই আগুনে একজন চায়ের সসপ্যান বসায়। অন্য একজন বার্লি গুলে জ্বাল দিতে শুরু করে। অন্যরা আগুন পোহায়। তারপর প্রত্যেকেই প্রথমে বাটি ভরে মাখন মেশানো লিকার চা আর তারপর দু’তিন বাটি বার্লি খেয়ে যে যার ঘোড়ার জিনে মাথা দিয়ে পশমের আঙরাখার ভেতরে হাত ও পা গুঁজে ঘুমিয়ে পড়ে। এই অভিযানে সাফল্যের উদযাপন ও ভোজের জন্য আরও কয়েকদিন অপেক্ষা করতে হবে তাদের। শুধু কয়েকজন পালা করে বন্দুক হাতে টহলদারিতে ব্যস্ত থাকে।

ডাকাতদলের যুবক দলপতির এ যাবৎ যৌন জীবনে প্রেম – ভালবাসার কোনও স্থান ছিল না। সে শুধু শরীরের যৌনতায় অভ্যস্ত। প্রেম-ভালবাসার জন্যে তার কোনও ফুরসৎ ছিল না। অন্য ডাকাতদের তুলনায়-ও সে অনেক বেশি রুক্ষ। ধীরেধীরে বার্লির লেই খাওয়া শেষ করে সে উঠে দাঁড়িয়ে মেয়েটিকে বলে,তুই আসতে চেয়েছিলি- ভাল, আয় তাহলে !

আর তারপর মেয়েটির দিকে একবারও না তাকিয়ে খোলা তাঁবুর নিচে ঢুকে পড়ে।

মেয়েটি নীরবে ওকে অনুসরণ করে।

চলবে ...